ঠাকুর মহাশয় রূপাের টাকা দুইটি তুলে
নিয়ে একটু বাজাতেন,
আর সঙ্গে সঙ্গে বলতেন,
" জয় গােবিন্দ" , " জয় গােবিন্দ"।
জয় গুরু ।।
এটা হচ্ছে বিশ দশকের শেষের দিকের ঘটনা।
চঞ্চল হয়ে উঠেছিল কলিকাতার আশ্রিত মহল। এতদিন সকলেই দেখে
এসেছেন অর্থের উপর অনুমাত্র আসক্তি ঠাকুর মহাশয়ের নেই।
তাহাকে প্রণাম করে প্রণামী দেওয়ার রেওয়াজ কোনদিনই ছিল না।
কদাচিৎ কিঞ্চিৎ প্রণামী যদি কেউ দিতেন ,
ঠাকুর মহাশয় রূপাের টাকা দুইটি তুলে নিয়ে
একটু বাজাতেন, আর সঙ্গে সঙ্গে বলতেন,
" জয় গােবিন্দ " , " জয় গােবিন্দ " ।
পরে টাকা দুইটি বালিশের তলায় রেখে দিতেন , অপেক্ষা করতেন কোন দুঃস্থের
আগমনের জন্য।
সে রকম কেউ আসার সঙ্গে সঙ্গে বালিশের তলা
থেকে টাকা দুইটি নিয়ে তার হাতে তুলে দিতেন। সকালবেলা হলে বলতেন,
মাছ কিনে নিয়ে বাড়ির সকলের সঙ্গে ভাল
করে যেন আহার করেন,
আর বৈকাল হলে বলতেন,
মিষ্টি কিনে ছেলে-মেয়েদের খাওয়াতে।
ঠাকুর মহাশয়ের দীর্ঘকাল অতিবাহিত হতাে এক বস্ত্রে। কখন সখন যদি কেহ
তাহাকে একখানা নূতন।
বস্ত্র দিতেন ,
তিনি শয্যার এক পার্শ্বে সযত্নে তা তুলে রাখতেন।
আর অপেক্ষা করতেন,
কোন দুঃস্থ লােক আসা পর্যন্ত। সে রকম কেউ এলে বস্ত্রটি তার হাতে তুলে
দিতেন।
জয় রাম।
ফনীভূষণ চক্রবর্তী।
শ্রুতিতে রামঠাকুর ২য়।
পৃষ্ঠা সংখ্যা ১০২ হইতে
Comments
Post a Comment